অগ্রণী ব্যাংক স্টুডেন্ট একাউন্ট এবং সেভিংস একাউন্ট খোলার নিয়ম
আপনি কি অগ্রণী ব্যাংক স্টুডেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে জেনে একটি ব্যাংক
অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে চাচ্ছেন তাহলে আজকে আর্টিকেলটি আপনার জন্য কারণ আজকের
আর্টিকেলে আমরা অগ্রণী ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করেছি।
এছাড়াও ঘরে বসে অনলাইনে কিভাবে অগ্রণী ব্যাংক একাউন্ট খোলা যায় এবং এই একাউন্ট
খুলতে কত টাকার প্রয়োজন হয় এবং এর সুবিধা গুলো কি কি এ সম্পর্কে বিস্তারিত
আজকের আর্টিকেলে আলোচনা করা হয়েছে।
সূচিপত্রঃ অগ্রণী ব্যাংক স্টুডেন্ট একাউন্ট এবং সেভিংস একাউন্ট খোলার নিয়ম
অগ্রণী ব্যাংক স্টুডেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম
অগ্রণী ব্যাংক স্টুডেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পকে আপনারা যারা এখন পর্যন্ত
জানেন না তাদের জন্যই মূলত আর্টিকেলের এই অংশটি আজকে সাজানো হয়েছে তাই
আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়বেন।
অগ্রণী ব্যাংকে স্টুডেন্ট একাউন্ট খোলার জন্য আপনাকে অবশ্যই আপনার নিকটস্থ অগ্রণী
ব্যাংকের যেকোনো শাখায় গিয়ে ব্যাংক কর্মকর্তাদের কাছ থেকে একটি আবেদন ফরম
সংগ্রহ করতে হবে এবং সেই ফর্মটিতে আপনার সকল তথ্য সঠিকভাবে দিতে হবে।
এছাড়া ফরম পূরণ করা হয়ে গেলে সেই ফর্ম এর সাথে আপনার গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র
যেমন স্টুডেন্ট আইডি কার্ড, পাসপোর্ট অথবা ন্যাশনাল আইডি কার্ডের ফটোকপি,
অ্যাকাউন্ট কারীর দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি এবং নমিনের এক কপি পাসপোর্ট সাইজের
ছবি জমা দিতে হবে।
এরপর আপনাকে আপনার একাউন্টে কিছু টাকা জমা করতে হবে তাহলে আপনার একাউন্টটি
পরিপূর্ণভাবে চালু হয়ে যাবে।
অগ্রণী ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম
আপনি যদি অগ্রণী ব্যাংক স্টুডেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে জেনে থাকেন তাহলে
আপনি খুব সহজেই অগ্রণী ব্যাংকে যেকোনো ধরনের অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন কারণ অগ্রণী
ব্যাংকে প্রত্যেকটি অ্যাকাউন্ট খোলার নিয়ম প্রায় একই রকম তাই আজকে আমরা অগ্রণী
ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করব।
অগ্রণী ব্যাংকে একাউন্ট খোলার জন্য আপনাকে প্রথমে আপনার নিকটস্থ যেকোনো একটি
শাখায় গিয়ে আপনি যে ধরনের অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে চান সে অনুযায়ী একটি আবেদন ফরম
সংগ্রহ করতে হবে এবং সেখানে আপনার সকল তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে।
এছাড়া নিজের প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র যেমন ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি, পাসপোর্ট
সাইজের দুই কপি ছবি, বাসার বিদ্যুৎ ট্যাক্স অথবা পানির বিলের কাগজের ফটোকপি এবং
নমিনের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ইত্যাদি আবেদন ফরম এর সাথে করে ব্যাংকে জমা দিতে
হবে।
এ সকল কাজ সঠিকভাবে সম্পূর্ণ হলে আপনার ব্যাংক একাউন্ট তৈরি হয়ে যাবে এবং ব্যাংক
থেকে আপনাকে ডেবিট কার্ড অথবা চেক বই দেওয়া হবে যেগুলোর মাধ্যমে আপনি ব্যাংক এ
লেনদেন করতে পারবেন।
অগ্রণী ব্যাংক অনলাইন একাউন্ট
অগ্রণী ব্যাংক স্টুডেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে আপনার ইতিমধ্যে আর্টিকেল
এর উপরের অংশ থেকে জেনে গেছেন তাই এবার আমরা আপনাদেরকে অগ্রণী ব্যাংক অনলাইন
একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে আর্টিকেলের এই অংশে বিস্তারিত জানানোর চেষ্টা
করব।
বর্তমানে তথ্য প্রযুক্তি অগ্রগতির ফলে আমরা খুব সহজেই ঘরে বসে থেকেই যেকোনো ধরনের
ব্যাংক একাউন্ট তৈরি করে ব্যাংকিং সেবা গ্রহণ করতে পারি। তাই আপনি যদি অগ্রণী
ব্যাংকে একটি একাউন্ট তৈরি করতে চান তাহলে আপনি আপনার হাতে থাকা মোবাইল ফোনে
Agrani eAccount অ্যাপ এর মাধ্যমে তৈরি করতে পারবেন।
তাই চলুন দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক কিভাবে Agrani eAccount অ্যাপের মাধ্যমে
অগ্রণী ব্যাংকে একটি সেভিং একাউন্ট তৈরি করা যায়।
১। প্রথম গুগল প্লে স্টোর থেকে Agrani eAccount অ্যাপটি ইন্সটল করে নিতে হবে এরপর
অ্যাপটি ওপেন করে ভাষা সিলেক্ট করে সেভিংস একাউন্ট সিলেক্ট করে মোবাইল নাম্বার
দিয়ে ভেরিফিকেশন করতে হবে।
২। ভেরিফিকেশন সম্পন্ন হলে এরপর আপনার এনআইডি কার্ডের ছবি দিতে হবে তাই ফোনের
ব্যাক ক্যামেরা অন করে এনআইডি কার্ডের ফ্রন্ট সাইডরে এবং ব্যাক সাইডের ভালো করে
ছবি তুলে নেক্সট বাটনে ক্লিক করতে হবে।
৩। এনআইডি কার্ডের ছবি আপলোড করার পর আবেদনকারী ছবি দিতে হবে তাই শিল্পী ক্যামেরা
অন করে আবেদনকারীর একটি ছবি তুলে সেখানে আপলোড করে দিবেন। আর ছবি তোলার সময়
চেষ্টা করবেন আপনার পিছের ব্যাকগ্রাউন্ডটা সাদা রাখার।
৪। এরপর এনআইডি অনুযায়ী আপনি আপনার সকল তথ্য এখানে দেখতে পাবেন এবং কোন তথ্য যদি
ভুল থাকে তাহলে সেটি সংশোধন করে আবার পরবর্তী ধাপ নেক্সট বাটনে চাপ দিবেন।
৫। এরপর নোমিন এর একটি ছবির প্রয়োজন হবে তাই নোমানের একটি ছবি সেখানে আপলোড করে
দিবেন এবং নোমিন এর সাথে আবেদনকারীর কি সম্পর্ক সেটি সেখানে উল্লেখ করে দিবেন
এছাড়াও নমিনিট যদি ভোটার আইডি কার্ডের ছবি দিতে বলে তাহলে সেখানে সেটি দিয়ে
দেবেন।
৬। সব কিছু সম্পন্ন হলে আপনি আপনার জেলা বিভাগ স্থায়ী ঠিকানা এবং আপনার আয়ের
মাধ্যম ইত্যাদি এখানে দিয়ে দিবেন। এবং আপনি যদি চেক বই দিয়ে ব্যাংকের লেনদেন
করেন তাহলে চেক বইয়ে ঠিকমত দেবেন আর আপনি যদি এটিএম কার্ড দিয়ে লেনদেন করতে চান
তাহলে এটিএম কার্ডের টিক মার্ক দিবেন এবং এরপর আবার নেক্সট বাটনে চাপ দিবেন।
৭। এভাবে করে আপনি যখন সকল তথ্য দিয়ে নিজের শর্তগুলো মেনে নিয়েছেন লেখার পাশে
থাকার টিক মার্ক করে যখন পরবর্তী ধাপে যাবেন তখন কিছুক্ষণ পর আপনার ফোন নাম্বারে
অভিনন্দন এর একটি মেসেজ আসবে তখনই আপনি বুঝে নিবেন যে অগ্রণী ব্যাংকে আপনার একটি
ব্যাংক একাউন্ট তৈরি হয়েছে।
অগ্রণী ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কত টাকা লাগে
অগ্রণী ব্যাংক স্টুডেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে হয়তো আপনারা অনেকেই জানেন
কিন্তু অগ্রণী ব্যাংকে কোন ধরনের অ্যাকাউন্টে খুলতে কত টাকা লাগে এ সম্পর্কে
আপনারা অনেকেই জানেন না তাই আজকের আর্টিকেলের এই অংশে এ সম্পর্কে বিস্তারিত
জানানোর চেষ্টা করব।
অগ্রণী ব্যাংকে আমরা মূলত তিন ধরনের একাউন্ট তৈরি করতে পারি যেমন স্টুডেন্ট
একাউন্ট, সেভিংস অ্যাকাউন্ট এবং কারেন্ট একাউন্ট আর এই তিনটির একাউন্টের মধ্যে
আপনি যে একাউন্টটিই তৈরি করেন না কেন আপনাকে তার জন্য ব্যাংকের নিকট টাকা জমা
দিতে হবে। তাই চলুন দেরি না করে জেনা যাক অগ্রণী ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কত টাকা
লাগে।
- অগ্রণী ব্যাংকে স্টুডেন্ট একাউন্ট তৈরি করতে প্রয়োজন হয় ১০০ টাকা
- অগ্রণী ব্যাংকে কারেন্ট একাউন্ট তৈরি করতে প্রয়োজন হয় ১০০০ টাকা
- অগ্রণী ব্যাংকে সেভিংস একাউন্ট তৈরি করতে প্রয়োজন হয় ৫০০ টাকা
অগ্রণী ব্যাংক সেভিংস একাউন্ট চার্জ
প্রতিটি ব্যাংকের মতো অগ্রণী ব্যাংকেও সেভিংস একাউন্ট চার্জ রয়েছে আর আপনারা
হয়তো অনেকেই অগ্রণী ব্যাংক সেভিংস একাউন্ট চার্জ সম্পর্কে জানেন না তাই আপনাদের
জন্য আর্টিকেলের এই অংশটি আজকে সাজানো হয়েছে।
অগ্রণী ব্যাংকে সেভিংস একাউন্টে বিভিন্ন ভাবে চার্জ কাটা হয়ে থাকে যেমন এসএমএস
চার্জ চেক বই অথবা এটিএম কার্ড এর চার্জ এবং অ্যাকাউন্ট রক্ষণাবেক্ষণের জন্য
চার্জ ইত্যাদি।
অগ্রণী ব্যাংক থেকে যখন আপনার মোবাইলে কোন এসএমএস আসবে তখন সেটিরও কিছু পারসেন্ট
আপনার অ্যাকাউন্ট থেকে কাটা হবে এছাড়াও আপনি ব্যাংক থেকে যতবার চেক বই সংগ্রহ
করবেন সেটির জন্য আপনার অ্যাকাউন্ট থেকে কিছু চার্জ কাটা হবে।
শুধু যে চার্জ কাটবে বিষয়টা তেমন নয় অগ্রণী ব্যাংকে আপনি যদি সেভিংস একাউন্ট
তৈরি করেন তাহলে আপনার একাউন্টে যত টাকা থাকবে তা থেকে ব্যাংক আপনাকে ৩.০০
পার্সেন্টেজ করে লাভ দিবে।
অগ্রণী ব্যাংক সেভিংস একাউন্ট সুবিধা
আপনি যদি অগ্রণী ব্যাংকে একটি সেভিংস একাউন্ট তৈরি করেন তাহলে এটির অনেক সুবিধা
ভোগ করতে পারবেন কারণ বর্তমানে অগ্রণী ব্যাংক সেভিংস একাউন্টে পূর্বের তুলনায়
বেশি লাভ দিয়ে থাকে।
তাই আপনারা যারা এখনো অগ্রণী ব্যাংকে সেভিংস একাউন্ট করা নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন
তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেলটি কারণ আজকের এই আর্টিকেলের আমরা অগ্রণী ব্যাংক
সেভিংস একাউন্ট সুবিধা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।
অগ্রণী ব্যাংকে আপনি আপনার সুবিধা মতো মূলত তিন ধরনের অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে
পারবেন সেভিংস একাউন্ট, কারেন্ট একাউন্ট এবং স্টুডেন্ট একাউন্ট আর প্রত্যেকটি
অ্যাকাউন্টে টাকার পরিমাণ এবং সময় অনুযায়ী একটি লাভ দেওয়া হয়।
বিশেষ করে যাদের সেভিংস একাউন্ট রয়েছে তারা একটু বেশি সুবিধা পেয়ে থাকে কারণ
অগ্রণী ব্যাংকে পূর্বে সেভিংস একাউন্টে ২.৫০ পার্সেন্টেজ করে লাভ দেওয়া হতো
কিন্তু বর্তমানে অগ্রণী ব্যাংক এখন সেভিংস একাউন্টে আপনার টাকার পরিমান এবং
সময়ের উপর ভিত্তি করে ৩.০০ পার্সেন্টেজ করে লাভ দিয়ে থাকে।
যদি আপনার একাউন্টে এক লক্ষ টাকা থেকে থাকে তাহলে আপনি ছয় মাসে অগ্রণী ব্যাংক
আপনাদেরকে এই টাকার পরিবর্তে ১৫০০ করে দিবে এবং আপনার যখন এক বছর হবে তখন আপনাকে
৩০০০ টাকা করে দিবে। তাই পরিশেষে বলা যায় যে বর্তমানে বর্তমানে আপনি যদি অগ্রণী
ব্যাংকে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করেন তাহলে এ সকল সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।
লেখকের মন্তব্য
কিভাবে অগ্রণী ব্যাংকে একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট তৈরি করা যায় এ সম্পর্কে আপনারা
যারা আমাদের এই আর্টিকেলটি পড়ে জেনেছেন তারা অবশ্যই আর্টিকেলটি পড়ে উপকৃত
হয়েছেন তাই আর্টিকেলটিতে একটি লাইক কমেন্ট এবং শেয়ার করে আমাদের ওয়েবসাইটের
সাথেই যুক্ত থাকবেন ধন্যবাদ।
rsfahim it নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url