ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম এবং এর সুবিধা
ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম এবং ডাচ বাংলা ব্যাংক সেভিংস একাউন্ট চার্জ
কত এ সম্পর্কে আপনারা যারা এখনো অবগত নন তাদের জন্যই আজকে আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ
সাজানো হয়েছে।
এছাড়াও আজকের আর্টিকেলে আমরা ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট দেখার নিয়ম এবং এর
বিভিন্ন সুবিধা সম্পর্কেও বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে তাই আজকের আর্টিকেলটি
মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
সূচিপত্রঃ ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম এবং এর সুবিধা
ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম
ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে জানার জন্য আপনার হয়তোবা অনেক
জায়গায় খোঁজাখুঁজি করছেন কিন্তু তারপরও সঠিক তথ্য পাচ্ছেন না তাহলে আজকের এই
আর্টিকেলটি আপনার জন্য কারণ আজকের আর্টিকেলে আমরা এই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা
করব।
আপনি যদি ডাচ বাংলা ব্যাংকে একটি সেভিংস একাউন্ট তৈরি করতে চান তাহলে আপনি সেটি
দুইভাবে করতে পারবেন একটি হচ্ছে অনলাইনের মাধ্যমে এবং অন্যটি হচ্ছে অফিসে গিয়ে
অর্থাৎ অফলাইনের মাধ্যমে তাই চলুন দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক কিভাবে ডাচ বাংলা
ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হয়।
- অফিসে গিয়ে অ্যাকাউন্ট তৈরি করার নিয়ম
১। প্রথমে ডাচ বাংলা ব্যাংকের অফিস থেকে আপনাকে একটি আবেদন ফরম দেওয়া হবে এবং এই
ফর্মটিতে সকল বিষয় নির্ভুলভাবে আপনাকে পূরণ করতে হবে এবং চেষ্টা করবেন আপনার
জাতীয় পরিচয় পত্রের অনুযায়ী ফর্মটি পূরণ করার।
২। আবেদনকারীর জাতীয় পরিচয় পত্রের একটি ফটোকপি এবং সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের
এক কপি রঙিন ছবির প্রয়োজন হবে।
৩। এবং এরপর আপনার বাড়ির বিদ্যুৎ বিলের কাগজের এক কপি ফটোকপির প্রয়োজন হবে।
৪। এছাড়া আপনি যদি চাকরি করেন তাহলে সেটি ডকুমেন্ট অথবা আপনি যদি ব্যবসা করেন
তাহলে সে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের একটি ট্রেড লাইসেন্স এর দরকার হবে।
৫। এবং আবেদনকারী ব্যাতিতো দ্বিতীয় একজন ব্যাক্তিকে নমিনি করতে হবে যার কারনে
নমিনির জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি ১ কপি রঙ্গিন ছবি ও প্রয়োজনীয় সকল তথ্যের উল্লেখ
করতে হবে।
আর এভাবে করে এ সকল প্রয়োজনীয় কাগজপএ একসাথে করে ব্যাংকে জমা দিতে হবে এবং এরপর
সর্বনিম্ন ৫০০ টাকা আপনার ব্যাংক একাউন্টে জমা করতে হবে তাহলে আপনার একাউন্টে
চালু হয়ে যাবে।
- অনলাইনের মাধ্যমে অ্যাকাউন্ট তৈরির নিয়ম
১। অনলাইনের মাধ্যমে ডাচ বাংলা ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য আপনাকে প্রথমে প্লে
স্টোরে গিয়ে Nexus play নামক একটি অ্যাপস ইনস্টল করে ওপেন করতে হবে।
২। এরপর ওখানে থাকা থ্রি ডট অপশনে ক্লিক করলে অ্যাকাউন্ট ওপেনিং নামে একটি অপশন
আসবে সেখানে ক্লিক করতে হবে।
৩। এরপর সেখানে আপনার কাছে চারটি অপশন আসবে যেমন
- NID verification
- provide personal information
- provide nominee information
- Intel deposit
আপনাকে এই অপশনগুলোর মধ্যে প্রবেশ করতে হবে এবং এখানে যেসব ইনফরমেশন চাইবে সেগুলো
আপনাকে সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে।
৪। সবগুলো ঠিকঠাক পূরণ করা হয়ে গেলে এরপর আপনি যদি মোবাইল এর মাধ্যমে সর্বনিম্ন
৫০০ টাকা একাউন্টে জমা দেন তাহলে আপনার অ্যাকাউন্ট চালু হয়ে যাবে আপনাকে শুধু
অফিসে গিয়ে আপনার কার্ডটি সংগ্রহ করতে হবে।
ডাচ বাংলা ব্যাংক সেভিংস একাউন্ট চার্জ
ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম কি এ সম্পর্কে আপনার ইতিমধ্যে জেনে গেছেন
কিন্তু ডাচ বাংলা ব্যাংক সেভিংস অ্যাকাউন্ট চার্জ কত এ সম্পর্কে অনেকেই জানেন না
তাই আজকের আর্টিকেলের এই অংশটি আপনাদের জন্য। ডাচ বাংলা ব্যাংক সেভিংস একাউন্ট এর
ক্ষেত্রে এখানে বসের দুইবার করে চার্জ কাটা হয়।
আরো পড়ুনঃ জনতা ব্যাংক পার্সোনাল লোন নেওয়ার উপায়
- আপনার ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্টে যদি ১০ হাজার টাকার নিচে থাকে তাহলে ক্ষেত্রে ব্যাংক আপনার কাছ থেকে কোন চার্জ নিবে না।
- কিন্তু আপনি যদি ১০ হাজার টাকা থেকে ২৫ হাজার টাকা রাখেন তাহলে সে ক্ষেত্রে আপনার একাউন্ট থেকে ছয় মাস পর পর ১০০ টাকা করে চার্জ কটা হবে।
- এছাড়াও ২৫ হাজার থেকে ২ লাখ টাকা যদি ব্যাংকে থাকে তাহলে ছয় মাস পর পর ২০০ টাকা করে কাটা হবে।
- এবং ২ লক্ষ টাকা থেকে এক কোটি টাকা পর্যন্ত যদি আপনার ব্যাংক একাউন্টে থেকে থাকে তাহলে সে ক্ষেত্রে ২৫০ টাকা করে কাটা হবে।
- এবং এক কোটি টাকার উপরে আপনি যত টাকা রাখবেন তার ওপরে আপনার ৩০০ টাকা করে চার্জ কাটা হবে।
ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কত টাকা লাগে
ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে আমরা আর্টিকেলের উপরের অংশে
বিস্তারিত আলোচনা করেছি তাই এবার ডাচ বাংলা ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে কত টাকা লাগে
এ সম্পর্কে আর্টিকেলের এই অংশ বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করব।
ডাচ বাংলা ব্যাংকে আপনি যদি একটা সেভিংস একাউন্ট খুলতে চান তাহলে সে ক্ষেত্রে
প্রথমে আপনাকে আপনার একাউন্টে ৫০০ টাকা জমা দিতে হবে এতে করে আপনার অ্যাকাউন্টটি
চালু হয়ে যাবে। এবং আপনি যদি একটি স্টুডেন্ট একাউন্ট খুলতে চান সেক্ষেত্রে
আপনাকে এখানে সর্বনিম্ন ১০০ টাকা একাউন্টে জমা দিতে হবে।
ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট দেখার নিয়ম
অনেকে রয়েছে যারা ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে জানলেও ডাচ
বাংলা ব্যাংক একাউন্ট দেখার নিয়ম কি এ সম্পর্কে জানে না তাই তাদের জন্যই আজকেরে
আর্টিকেলের এই অংশটি সাজানো হলো।
আপনি যদি ডাচ বাংলা ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার পর আপনার একাউন্টে কত টাকা আছে এটি
দেখতে চান তাহলে আপনি বিভিন্ন উপায়ে এটি দেখতে পারবেন আর সেগুলো নিয়েই নিচে
আলোচনা করা হলো।
নেক্সাস পে এপ্লিকেশন দিয়ে ব্যাংক একাউন্ট দেখার নিয়ম
নেক্সাস পে হলো ডাচ বাংলা ব্যাংকের একটি অফিসিয়াল অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার যেটি
আপনি আপনার মোবাইল ফোনে ইন্সটল করে খুব সহজে আপনার অ্যাকাউন্ট দেখতে পারবেন আর
তার জন্য কিছু নিয়ম আছে যেগুলো আপনাকে মানতে হবে আর তা হলঃ
১। প্রথমে আপনাকে গুগল প্লে স্টোর থেকে নেক্সাস পে এপ্লিকেশনটি ইন্সটল করতে হবে
এরপর এপ্লিকেশনটি ওপেন করে এখানে আপনার আইডিটি লগইন করে নিতে হবে।
২। লগইন করা হয়ে গেলে আপনাকে আপনার ডাচ বাংলা ব্যাংক নেক্সাস পে এটিএম কার্ড
সিলেক্ট করে নিতে হবে।
৩। এরপর আপনি একটু খেয়াল করলে দেখতে পাবেন উপরে থ্রি ডট মেনু রয়েছে সেখানে
গিয়ে ব্যালান্স ইনকোয়ারি অপশনটিতে ক্লিক করতে হবে তাহলে আপনি আপনার একাউন্টের
ব্যালেন্স চেক করতে পারবেন।
এটিএম কার্ড ব্যবহার করে ব্যাংক একাউন্ট দেখার উপায়
আপনারা যারা ডাচ বাংলা ব্যাংকে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করেছেন আপনাদের প্রত্যেকের
কাছেই একটি করে কার্ড রয়েছে আর এই কার্ডটি হচ্ছে এটিএম কার্ড যেটির মাধ্যমে
আপনারা যেকোনো এটিএম বুথে গিয়ে আপনাদের একাউন্ট থেকে টাকা তুলতে পারবেন এবং
একাউন্টে কত টাকা আছে এটিও দেখতে পারবেন কিন্তু তার জন্য কিছু নিয়ম রয়েছে
যেগুলো আপনাকে মানতে হবে।
আরো পড়ুনঃ এফিলিয়েট মার্কেটিং কত প্রকার ও কি কি
১। প্রথমে ডাচ বাংলা বুথে আপনার এটিএম কার্ডটি প্রবেশ করাতে হবে এবং এরপর আপনার
ব্যাংক একাউন্টের পিন নাম্বার চাইবে সে পিন নাম্বার দিতে হবে।
২। এরপর আপনার কাছে ব্যালেন্স স্টেটমেন্ট নামে একটি অপশন আসবে সে অপশনে ক্লিক করে
দিতে হবে। এরপর আপনাকে সেখানে প্রশ্ন করা হবে যে আপনি কি ব্যালেন্স স্টেটমেন্ট
রশিদ নিতে চান হ্যাঁ কি না।
৩। আপনি যদি হ্যাঁ বাটনে চাপ দেন তাহলে আপনাকে তারা একটি রশিদ দিবে আর এর জন্য
আপনার কাছ থেকে তিন টাকা চার্জ কাটা হবে।
৪। তাই আপনি সরাসরি হ্যাঁ বাটনে চাপ না দিয়ে না বাটনে চাপ দিন তাহলে দেখবেন ১০
থেকে ১৫ সেকেন্ডের মধ্যে আপনার একাউন্টের ব্যালেন্স দেখতে পাবেন।
এসএমএস এর মাধ্যমে ব্যাংক একাউন্ট দেখার উপায়
ডাচ বাংলা ব্যাংকে আপনারা যারা অ্যাকাউন্ট তৈরি করেছেন তারা চাইলে খুব সহজে
এসএমএসের মাধ্যমে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট এর ব্যালেন্স চেক করতে পারবেন।
তার জন্য আপনাকে প্রথমে আপনার ফোনের মেসেজ অপশনে গিয়ে BAL space account number
লিখে ৩২২৫ নম্বরে পাঠিয়ে দিতে হবে তাহলেই কিছুক্ষণ পর আপনার কাছে আপনার
একাউন্টের ব্যালেন্স সম্পর্কিত একটি মেসেজ আসবে।
অফিসে গিয়ে ব্যাংক একাউন্ট চেক করার উপায়
আপনি যদি সরাসরি ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্টে গিয়ে আপনার একাউন্টটি চেক করতে চান
তাহলে আপনি সেটি খুব সহজে করতে পারবেন এর জন্য শুধুমাত্র আপনাকে ডাচ বাংলা
ব্যাংকে উপস্থিত হয়ে কাস্টমার ম্যানেজারের সাথে যোগাযোগ করতে হবে তাহলেই তারা
আপনার একাউন্টের পুরো ডিটেলস আপনাকে দেখাতে পারবে।
ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট এর সুবিধা
যেহেতু ডাচ বাংলা ব্যাংক বাংলাদেশে সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং নির্ভরযোগ্য একটি
ব্যাংকিং সেবা আপনি যদি এখানে অ্যাকাউন্ট তৈরি করেন তাহলে আপনি এটির বিভিন্ন
সুবিধা ভোগ করতে পারবেন যেগুলো অন্যান্য ব্যাংকে অনেক কম দেখা যায়।
তাই আজকের আর্টিকেলে আমরা ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট এর সুবিধা সম্পর্কে বিস্তারিত
সকল তথ্য আলোচনা করার চেষ্টা করব তাই চলুন দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক যে ডাচ
বাংলা ব্যাংকে একাউন্ট করলে কি কি সুবিধা পাওয়া যায়।
ডাচ বাংলা ব্যাংকের অনেকগুলো শাখাঃ প্রতিটি ব্যাংকের ক্ষেত্রে একটি
গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে যে দেশ জুড়ে সে ব্যাংকের কতগুলো শাখা রয়েছে আপনি যদি
ডাচ বাংলা ব্যাংকের শাখার কথা চিন্তা করেন তাহলে বাংলাদেশ প্রায় ৬৪ টা জেলার
মধ্যে এর ২২৬ টি শাখা রয়েছে।
এছাড়াও এ ব্যাংকের ৯৯ টি উপশাখাও রয়েছে তাই আপনি দেশের যে প্রান্তেই থাকুন না
কেন আপনি এখান থেকে খুব সহজে ব্যাংকিং সেবা নিতে পারবেন।
অনেকগুলো এটিএম বুথ রয়েছেঃ ডাচ বাংলা ব্যাংকের আরেকটি সবচেয়ে বড় সুবিধা
হচ্ছে দেশের প্রতিটি প্রান্তে ডাচ বাংলা ব্যাংকের অনেকগুলো এটিএম বুথ ছড়িয়ে
ছিটিয়ে রয়েছে যার ফলে আপনি খুব সহজে যেকোনো জায়গা থেকে টাকা লেনদেন করতে
পারবেন।
ডাচ বাংলা ব্যাংকের প্রায় সারা দেশে 5000 টির মত এটিএম বুথ রয়েছে যা অন্যান্য
ব্যাংকে তুলনায় অনেক বেশি।
বিভিন্ন ধরনের অ্যাকাউন্ট খোলার সুবিধাঃ আপনি ডাচ বাংলা ব্যাংকে আপনার
সুবিধামতো বিভিন্ন রকম অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে পারবেন আর সেগুলো হলো
১। ডাচ বাংলা ব্যাংকে আপনি সেভিং ডিপোজিট প্লাস অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে পারবে এবং
এখানে আপনাকে সর্বনিম্ন ৫ হাজার টাকা রাখতে হবে।
২। এছাড়া আপনি এখানে সেভিংস ডিপোজিট অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে পারবেন এটি সাধারণত যে
কেউ তৈরি করতে পারবে এখানে এখানে সুবিধা হচ্ছে আপনি অনেক টাকা জমা রাখতে পারবেন।
৩। সেভিং ডিপোজিটের মত আরেকটি অ্যাকাউন্ট হচ্ছে ইন্টারনেট ফ্রি সেভিংস ডিপোজিট
অ্যাকাউন্ট যারা মূলত কোনরকম মুনাফা নিতে চায়না তাদের জন্য এই অ্যাকাউন্টটি অনেক
ভালো।
৪। কারেন্ট ডিপোজিট একাউন্ট তৈরি করলে আপনি এখানে কোনরকম ইন্টারেস্ট পাবেন না।
৫। এছাড়া যারা ৬ থেকে ১৮ বছর বয়সী শিক্ষার্থী রয়েছে তারা চাইলে এখানে একটি
স্টুডেন্ট একাউন্ট তৈরি করতে পারবে তার জন্য প্রথমে মাত্র ১০০ টাকা একাউন্টে জমা
দিতে হবে।
৬। স্পেশাল নোটিশ ডিপোজিট অ্যাকাউন্ট আপনি চাইলে এখান থেকে তৈরি করতে পারেন বিশেষ
করে যারা অনেক টাকা লেনদেন করে তাদের জন্য এই অ্যাকাউন্টটি।
৭। ডাচ বাংলা ব্যাংকে কম চার্জ যুক্ত একটি অ্যাকাউন্ট হচ্ছে এক্সেল সেভিংস
অ্যাকাউন্ট এখানে আপনি শুধু একটি ডেবিট কার্ড পাবেন কিন্তু কোনরকম চেক এখান থেকে
পাবেন না।
তাই পরিশেষে বলা যায় ডাচ বাংলা ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট সম্পর্কে উপরে যে যে পয়েন্ট
সম্পর্কে আলোচনা করা হলো আপনি চাইলে সেখান থেকে আপনার সুবিধামতো যেকোনো একটি
অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে পারবেন।
নেক্সাস পে অ্যাপস এর সুবিধাঃ ডাচ বাংলা ব্যাংকিং এর সুবিধাকে আরো বেশি
বৃদ্ধি করতে ডাচ বাংলা ব্যাংকের অফিসিয়াল এপ্লিকেশন তৈরি করা হয় যার নাম
নেক্সাস পে।
আপনি চাইলে এই এপ্লিকেশনটি প্লে স্টোরের মাধ্যমে এই অ্যাপসটি ডাউনলোড করে আপনি
আপনার ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্টের প্রতিটি কাজ খুব সহজে ঘরে বসে থেকেই করতে
পারবেন যেমন টাকা লেনদেন, রিচার্জ, বিল পে, ফান্ড ট্রান্সফার ইত্যাদি।
রকেটে বাড়তি কিছু সুবিধাঃ মূলত ডাচ-বাংলা ব্যাংকেরই একটি মোবাইল ব্যাংকিং
সেবা হচ্ছে রকেট তাই আপনি যদি ডাচ বাংলা ব্যাংকে টাকা লেনদেন করেন এবং আপনার কাছে
যদি রকেট একাউন্ট করা থাকে তাহলে আপনি খুব সহজে ডাচ-বাংলা থেকে রকেটে টাকা নিতে
এবং পাঠাতে পারবেন।
তাই যাদের রকেট একাউন্ট আছে এবং যারা নিয়মিত রকেটে টাকা লেনদেন করে তারা চাইলে এ
সকল সুবিধা পেতে পারে।
অনলাইন বা যেকোনো জায়গায় স্টোর পেমেন্টের সুবিধাঃ আপনি যখন ডাচ বাংলা
ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট তৈরি করবেন তখন আপনাকে তারা একটি নেক্সাস কার্ড দিবে সে
ক্ষেত্রে এই কার্ডের জন্য কাছ থেকে কিছু চার্জ কাটা হবে।
এবং আপনি এ কার্ড দিয়ে বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট অথবা মার্কেটে শপিং করার পর খুব সহজে
পেমেন্ট করে দিতে পারবেন এছাড়া আপনি এ কার্ডের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের অফার পেতে
পারেন।
লেখকের মন্তব্য
প্রিয় পাঠক আপনি যদি ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম এবং ডাচ বাংলা ব্যাংক
অ্যাকাউন্ট তৈরি করলে কি কি সুবিধা পাওয়া যায় এ সম্পর্কে আজকের আর্টিকেলটি পড়ে
থাকেন তাহলে আশা করি আপনি অবশ্যই উপকৃত হয়েছেন তাই দয়া করে আজকে আর্টিকেলটিতে
একটি লাইক এবং কমেন্ট করুন।
এবং এখন পর্যন্ত যারা ডাচ বাংলা ব্যাংক অ্যাকাউন্ট সম্পর্কে জানেনা তাদেরকেও আজকে
আর্টিকেলটি শেয়ার করে উপকৃত করুন।
rsfahim it নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url