জনতা ব্যাংক পার্সোনাল লোন-জনতা ব্যাংক লোন পদ্ধতি

আপনি যদি জনতা ব্যাংক পার্সোনাল লোন নিতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই জনতা ব্যাংক স্যালারি লোন কৃষি লোন, স্টুডেন্ট লোন নারীর উদ্যোক্তা লোন ইত্যাদি সম্পর্কে জানতে হবে। আর এ সম্পর্কে আজকের আর্টিকেলে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করেছি।

তাই আপনি যদি আপনার পার্সোনাল কোন কাজের জন্য জনতা ব্যাংকের কাছ থেকে লোন নিতে চান তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনাকে সম্পূর্ণটি মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।

• জনতা ব্যাংক পার্সোনাল লোন
• জনতা ব্যাংক স্যালারি লোন
• জনতা ব্যাংক লোন পদ্ধতি
• জনতা ব্যাংক নারী উদ্যোক্তা লোন
• জনতা ব্যাংক কৃষি লোন
• জনতা ব্যাংক স্টুডেন্ট লোন
• লেখকের মন্তব্য

জনতা ব্যাংক পার্সোনাল লোন হচ্ছে এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে যেকোনো ব্যক্তি জনতা ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে তাদের ব্যক্তিগত খরচ মিটিয়ে থাকে বিশেষ করে চিকিৎসা খরচ, বাড়িঘর নির্মাণ, বিবাহ ইত্যাদি ব্যক্তিগত কাজের জন্য জনতা ব্যাংক থেকে মানুষ পার্সোনাল লোন নিয়ে থাকে। 

আমাদের দেশের প্রায় প্রতিটি ব্যাংকে ঋণের প্রযোজ্যতা দিন দিন বেড়েই চলেছে তার মধ্যে একটি হচ্ছে জনতা ব্যাংক লিমিটেড অনেকে আছে যারা জনতা ব্যাংকে উদার ব্যাংক হিসেবে বলে থাকে আর এর কারণ হচ্ছে জনতা ব্যাংক অনেক রকম ঋণ প্রদান করে থাকে যেমনঃ কৃষি লোন, উদ্যোক্ত লন, স্যালারি লোন, স্টুডেন্ট লোন, পল্লী লোন ইত্যাদি।

জনতা ব্যাংক পার্সোনাল লোন গুলোর মধ্যে একটি লোন হচ্ছে জনতা ব্যাংক স্যালারি লোন জনতা ব্যাংক মূলত একজন চাকুরীজীবী ব্যক্তির মাসিক বেতনের উপর ভিত্তি করে স্যালারি লোন প্রদান করে থাকে এবং সে অনুযায়ী প্রতি মাসে সুদের হার নির্ধারণ হয়। এছাড়াও স্যালারি লোনের কিছু শর্ত বলে রয়েছে যা নিচে দেওয়া হলঃ

১। মূলত একটি স্যালারি লোনের মেয়াদ ২ থেকে ৪ বছর হয়ে থাকে এর মধ্যেই আপনার ঋণ শোধ করতে হবে।

২। আপনার মাসিক বেতন অবশ্যই মোটলনের 12 গুণ হতে হবে এবং আপনাকে প্রতিমাসে প্রায় ৯% করে সুদ দিতে হবে।

জনতা ব্যাংক পার্সোনাল লোন সম্পর্কে আমরা আর্টিকেলের উপরের অংশে বিস্তারিত আলোচনা করেছি তাই এবার জনতা ব্যাংক লোন পদ্ধতি সম্পর্কে আর্টিকেলের এ অংশে বিস্তারিত আলোচনা করব। 

আপনি যদি জনতা ব্যাংক থেকে লোন নিতে চান তাহলে আপনি বিভিন্ন বিষয়ের উপরে এখানে লোন নিতে পারবেন যেমন কৃষি লন, গৃহ নির্মাণ লোন , স্যালারি লোন, শিক্ষা লোন, অবসরপ্রাপ্ত লোন ইত্যাদি।

আর একেকটি লোনের জন্য একেক রকম নিয়ম রয়েছে আর সেই নিয়ম গুলো মেনে আপনাকে এখান থেকে লোন নিতে হবে। তাই আজকের এই আর্টিকেলে আমরা আপনাদেরকে জনতা ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার সকল পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানানোর চেষ্টা করব।

১। আবেদনকারীর অবশ্যই প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যেমন জাতীয় পরিচয় পত্র, পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি ইত্যাদি থাকতে হবে।

২। এবং ব্যাংক থেকে আবেদনপত্রের ফর্ম সংগ্রহ করতে হবে এবং এটি সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে।

৩। এবং আপনি যে বিষয়ের উপরে জনতা ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে চাইছেন সে বিষয়ের যথাযথ তথ্য এবং কাগজপত্র ব্যাংকের নিকট জমা দিতে হবে।

৪। এবং আপনার সয়-সম্পত্তির যথাযথ এভিডেন্স এবং দলিল পত্র ব্যাংকের নিকট জমা দিতে হবে এছাড়াও ঋণ পরিশোধের নিশ্চয়তা স্বরূপ যে ব্যক্তি ঋণ নিবে সে ব্যক্তি কোন ভাই, বোন অথবা পিতা-মাতা ইত্যাদি তৃতীয় পক্ষের গ্যারান্টি প্রদান করতে হবে।

৫। এবং আপনি যে বিষয়ের উপর ঋণ নেবেন সে বিষয়ে প্রতিমাসে কত পারসেন্ট করে সুদ প্রদান করতে হয় এ সম্পর্কে জেনে নিবেন এবং সে অনুযায়ী প্রতিমাসে আপনাকে টাকা দিয়ে কয়েক বছরের মধ্যে এটি শোধ করতে হবে। 

কোন কোন ক্ষেত্রে দুই বছর চার বছর পাঁচ বছর অথবা ১৫ বছর পর্যন্ত সময় থাকে টাকা শোধ করার আর এটি নির্ভর করবে আপনি কোন বিষয়ের উপরে ঋণ নিচ্ছেন সেটির উপর।

বর্তমানে অনেক নারী রয়েছে যারা ছোট একটি ব্যবসা শুরু করে নিজে উদ্যোক্তা হতে চায় কিন্তু তাদের কাছে পর্যাপ্ত পরিমাণ পুঁজি না থাকায় তারা এটি করতে পারছে না তাই তাদের জন্য জনতা ব্যাংক নারী উদ্যোক্তা লোন চালু করা হয়েছে যার করে তারা খুব সহজে এখান থেকে লোন নিয়ে ব্যবসা শুরু করতে পারে। 

তাই আজকের এই আর্টিকেলে আমরা জনতা ব্যাংক থেকে নারী উদ্যোক্তা লোন নেওয়ার কিছু নিয়ম এবং লোনটি কত বছরের মধ্যে কত পার্সেন্ট সুদে শোধ করতে হবে এ সম্পর্কে জানাবো।

১। আবেদনকারীকে অবশ্যই বাংলাদেশের একজন নাগরিক হতে হবে এবং তার সাথে জাতীয় পরিচয় পত্র থাকতে হবে।

২। এবং আপনি যে ব্যবসা করবেন সে ব্যবসার অবশ্যই একটি ট্রেড লাইসেন্স থাকতে হবে।

৩। এছাড়া আপনার সম্পত্তির যেকোনো ডকুমেন্টস অথবা দলিল ব্যাংকের নিকট জমা দিতে হবে।

৪। এবং যে ঋণ গ্রহণ করবে সে ব্যতীত অন্য কোন তৃতীয় ব্যক্তিকেও সেখানে নোমেনি করতে হবে।

৫।আপনি যদি এমটিবি ভাগ্যবতী অথবা গুণবতী লোন নিতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই এক বছরে ব্যবসায় অভিজ্ঞতা এবং উৎপাদন জড়িত থাকতে হবে। ৬। নারী উদ্যোক্তা ঋণের ক্ষেত্রে আপনাকে ৯% করে সুখ প্রদান করতে হবে এবং অবশ্যই দুই থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে এ টাকাটি শোধ করতে হবে।

জনতা ব্যাংক পার্সোনাল লোন এর মধ্যে আরেকটি লোন হচ্ছে জনতা ব্যাংক কৃষি লোন জনতা ব্যাংকে মূলত কৃষির উপর দুই ধরনের লোন দিয়ে থাকে একটি হচ্ছে পশু অথবা গাভী পালন লোন এবং অন্যটি হচ্ছে জমিতে যেকোনো ধরনের ফসল উৎপাদন এর জন্য লোন। 

তাই জনতা ব্যাংকে কিভাবে কৃষি লোন নিতে হয় এবং কত বছরের মধ্যে কত পারসেন্ট সুদে এই লোন শোধ করতে হয় এ সম্পর্কে আজকের আর্টিকেল আমরা আপনাদেরকে জানার চেষ্টা করব।

• জমিতে যেকোনো ধরনের ফসল উৎপাদনে জন্য ঋণঃ

১। এই ঋণ নেয়ার জন্য একজন কৃষককে সরাসরি কৃষি কাজের সাথে জড়িত থাকতে হবে।

২। এবং ব্যাংকের কাছে আপনার সম্পত্তির ডকমেন্টস জমা দিতে হবে।

৩। এই ধরনের কৃষি কাজের জন্য আপনি জনতা ব্যাংক থেকে প্রায় ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঋণ নিতে পারবেন।

৪। এবং প্রতিমাসে আপনাকে ৯% হারে সুদ দিয়ে ফসল উৎপাদনের পর তিন মাসের মধ্যে শোধ করতে হবে।

• পশু এবং গাভী পালনের জন্য ঋণঃ

১। কৃষিকাজ অর্থাৎ পশু পালনে সরাসরিভাবে যুক্ত থাকতে হবে।

২। এবং ঋণ নেওয়ার আগে ব্যাংকের কাছে নিজের নির্দিষ্ট সম্পত্তির ডকুমেন্টস জমা দিতে হবে।

৩। পশু পালনে আপনি একটি গাভীর জন্য সর্বোচ্চ ৯০ হাজার টাকা ঋণ পাবেন।

৪। এবং আপনাকে এই দিনটি ৯% সুদে তিন বছরের মধ্যে শোধ করতে হবে।

আপনারা হয়তো অনেকে আছেন যারা জনতা ব্যাংক স্টুডেন্ট লোন এর বৈশিষ্ট্য এবং এটি কিভাবে পাওয়া যায় এ সম্পর্কে জানেন না তাই আজকের আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য কারণে এই আর্টিকেলে আমরা এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। তাই চলুন দেরি না করে এ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নি।

১। আপনি যদি জনতা ব্যাংক থেকে এই দিনটি নিতে চান তাহলে আপনি এখানে ৫০০০০ থেকে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত এ ঋণ নিতে পারবেন।

২। এবং আপনাকে সুদের হার প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ১১% করে দিতে হবে।

৩। এবং এই লোনের মেয়াদ থাকবে সর্বোচ্চ পাঁচ বছর পর্যন্ত।

৪। এবং এদিনটি নেওয়ার আগে আপনাকে যথাযথভাবে স্ট্যাম্পে দরখাস্ত দিয়ে গ্যারান্টি দিতে হবে।

জনতা ব্যাংক থেকে কিভাবে লোন নিতে হয় এ সম্পর্কে আজকেরে আর্টিকেলটি পড়ার পর আমার মনে হয় না আপনার আর এ সম্পর্কে কোন প্রশ্ন থাকবে আপনি যদি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে আর্টিকেলটিতে অবশ্যই একটি লাইক কমেন্ট এবং শেয়ার করবেন। এবং এ ধরনের আরো ভালো ভালো তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটের সাথে যুক্ত থাকবেন।